মাইদুল ইসলাম, ভূরুঙ্গামারী।।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চার দফা বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে না উঠতেই আবারও ক্ষতির শিকার হলো কৃষক। বন্যার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া উঁচু ক্ষেতের আমন ধানগুলো সবে মাত্র শীষ ফুটতে শুরু করেছে। গত ৩ দিনের বৃষ্টি আর বাতাসে ধানের শীষের ফুল ঝড়ে পড়ার কারণে ও মাটিতে নুয়ে পড়া ধান গাছ গুলো পঁচন ধরায় চলতি রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ
উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে শত শত হেক্টর আমন ক্ষেতের ধান গাছ গুলো পানিতে শুয়ে পড়েছে । হেলে পড়া ধানের শীষ পঁচে নষ্ট হওয়ায় আশংকায় ধান গাছ গুলোকে গোছা করে আটি বেঁধে খাড়া করে রাখতে প্রানপন চেষ্টা করছেন অনেকেই। কেউ কেউ নিরুপায় হয়ে হেলে পড়া থোর ধান গুলো কেটে গরুকে খাওয়াচ্ছেন।
উপজেলার পাইকের ছড়া ইউনিয়নের পাইক ডাঙ্গা গ্রামের কৃষক নজরুল জানান, বন্যায় নীচু এলাকার আমন ধান গুলো পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আগেই। উচু জমিতে কিছু ধান ছিল। সেটারও শেষ রক্ষা হলো না।
গছিডাঙ্গা গ্রামের কৃষক রেজাউল জানান, দমকা হাওয়ায় তার কয়েক বিঘা জমির ধান মাটিতে পড়ে গেছে।ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের কৃষক শহিদুল মিয়া জানান, তার আমন ক্ষেতে কেবল মাত্র ফুল এসেছে। ৩ দিনের বাতাস ও বৃষ্টিতে সব শেষ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে মোট ১৬ হাজার ৭১৪ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩০হেক্টর জমির ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। কৃষকদের হেলে পড়া ধান গাছগুলো ছোট ছোট করে আঁটি বেঁধে তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা। এ ছাড়াও যে সব জমিতে পানি জমেছে সেই জমির আইল কেটে পানি বের করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এতে করে কৃষকের ক্ষতির পরিমান কিছুটা হলেও কমবে।
Leave a Reply